কেশবপুর উপজেলার মেহেরপুর গ্রামের জনৈক মৃত আকবার আলী সরদারের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান মিজান পেশায় একজন জমি মাপা (সার্ভেয়ার) হলে শুধুমাত্র সদকায়ে জারিয়ার ছওয়াবের উদ্দেশ্য তিনি ২০০৮ সাল থেকে কেশবপুর উপজেলার মেহেরপুর,
মির্জাপুর ও বিষ্ণুপুর গ্রামের ওয়াপদা ( বর্তমান চলাচলের রাস্তা) ভেড়ি বাধেঁর দু ‘ পাশ দিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার ও কপোতাক্ষ নদ খননের রক্ষিত মাটির ভেড়ির পাশ দিয়ে গোপসেনা, মেহেরপুর, মির্জাপুর, বিষ্ণুপুর ও চিংড়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার।
মেহেরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের পশ্চিম পাশের রাস্তার দু ‘ পাশ দিয়ে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার রাস্তা ও সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সরসকাঠি, জয়নগর, ক্ষেত্রপাড়া, তালা উপজেলার ধানদিয়া, কৃষ্ণনগর ও সারসা গ্রামের কপোতাক্ষ নদের তীরে নদ খননের রক্ষিত মাটির ভেড়ির পাশ দিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার তাল গাছের বীজ লাগান।
তার প্রথম রোপন করা তাল গাছের বীজে বর্তমান প্রায় ১৪/১৫ ফুট উচ্চতার তালগাছ ভেড়ি ও রাস্তার দু ‘ পার্শ্বে দৃশ্যমান হছে। দু ‘ জেলার ৩ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কপোতাক্ষ নদ খননের রক্ষিত মাটির ভেড়ি,
ওয়াপদা ভেড়ি ও রাস্তার পাশ দিয়ে প্রায় ২৭ কিলোমিটার রাস্তা ও ভেড়ির পাশ দিয়ে প্রায় ৬ হাজার তাল গাছের বীজ রোপন করেছেন। তিনি কারো উৎসাহে উৎসাহিত হননি।
নিজে একজন বৃক্ষ প্রেমিক। তাই, বজ্রপাত নিরোধের জন্য জনস্বার্থে ও সদকায়ে জারিয়ার ছওয়াবের উদ্দেশ্য নিজ উদ্যাগে এ তালগাছের বীজ রোপন করেছেন। তার নেই কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ ।
নেই কোন চাওয়া পাওয়া। তার নিজের টাকায় মহল্লার ছোট বাচ্ছাদের নিকট থেকে অল্প দামে কেনা তাল বীজ রোপনের সময় মাঝে মাঝে তার অনার্স পড়ুয়া ছেলে মোঃ তারেক হাসান তার সঙ্গে থাকতেন।তা ছাড়া তার একই গ্রামের ঢাকাস্হ আকিজ ফাউন্ডেশন কলেজের অধ্যক্ষ খান আসাদুজ্জামান ও একদিন তার শশুর বাড়ি থেকে প্রায় দেড় শতাধিক তালবীজ জোগাড় করে মিজানের সঙ্গে ওয়াপদা ভেড়ির দু ‘ পাশে লাগিয়েছেন।
মিজানের তাল গাছ লাগানোর কথা শুনে ও তাল গাছ লাগাতে দেখে কেউ কেউ আবার তাদের বাড়ি থেকে বিনা টাকায় তালের বীজ লাগাতে দিয়েছেন। তার গ্রামের তুযার খান, রুবেল, আবু সাঈদ ও সিরাজুল ইসলাম মাঝে মাঝে তার সঙ্গে তাল বীজ বপনের কাজে সহযোগিতা করতেন।
২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল ইসলাম মিজানুর রহমান মিজানের তাল গাছ লাগানোর কথা স্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন, তালগাছ গুলো কিছু কিছু জায়গায় ফাঁকা, ফাঁকা করে লাগানো হয়েছে।
ঘন ঘন করে লাগালে আরো ভাল হত । হয়তো কিছু বীজ নষ্ট হয়ে চারা না ফোটার কারনে ও রাস্তার দু ‘ পার্শ্বের জমির মালিকরা ছোট অবস্হায় গাছ মেরে ফেলার কারনে গাছ ফাঁকা ও হতে পারে।
মিজান এখন ও প্রতিবছর কিছু কিছু তাল বীজ বিভিন্ন রাস্তার ধারে রোপন করে আসছেন। তার এ ধারা চলমান থাকবে বলে ও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।